ওমর হাশেমের জানাজায় হাজারো মানুষের ভিড়

মিশরের আল-আজহার মসজিদে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশিষ্ট আলেম, মিশরের সিনিয়র আলেম পরিষদের সদস্য ও আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আহমেদ ওমর হাশেমের জানাজা।

মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠিত এ জানাজায় আল-আজহারের গ্র্যান্ড ইমাম ড. আহমেদ আত-তাইয়েব, আল-আজহারের উপ-ইমাম ড. মুহাম্মদ আদ-দুইনি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সালামা জুমা দাউদ, প্রখ্যাত আলেম ও সাবেক ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী ড. ওসামা আল-আযহারি, বর্তমান গ্র্যান্ড মুফতি ড. নাজির আয়্যাদ, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল সিদকি সুবহি, সাবেক উপাচার্য ড. ওসামা আল-আবদ, উপ-উপাচার্য ড. মাহমুদ সিদ্দিক ও ড. রমজান আস-সাওয়ি, আল-আজহার ইনস্টিটিউট বিভাগের প্রধান শেখ আইমান আবদুল গনি, ইসলামিক রিসার্চ একাডেমির মহাসচিব ড. মুহাম্মদ আল-জুন্দি, সাবেক ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী ড. মুহাম্মদ মুখতার জুমা, সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি ড. শাওকি আল্লাম, সুফি তরিকার প্রধান শেখ আবদুল হাদি আল-কাসাবি, সায়্যিদ মাহমুদ আশ-শরীফসহ অসংখ্য আলেম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন এবং ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, আলেম-উলামা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, আজহারের কর্মকর্তাসহ অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিদায় জানান প্রয়াত এই মহান আলেমকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।

ওমর হাশেমের জানাজায় হাজারো মানুষের ভিড়

১৯৪১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মিশরের আশ-শারকিয়া প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন ড. আহমেদ ওমর হাশেম। তিনি ১৯৬১ সালে আল-আজহারের উসূলুদ্দিন অনুষদ থেকে স্নাতক, ১৯৬৭ সালে হাদিস ও হাদিসবিদ্যায় স্নাতকোত্তর এবং ১৯৬৯ সালে একই বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।

দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহু আরব ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৫ সালে তিনি আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। পাশাপাশি তিনি সিনিয়র আলেম পরিষদ, ইসলামিক রিসার্চ একাডেমি এবং সুপ্রিম কাউন্সিল ফর ইসলামিক অ্যাফেয়ার্সের সদস্য ছিলেন।

ওমর হাশেমের জানাজায় হাজারো মানুষের ভিড়

হাদিস ও সুন্নাহ্‌ বিষয়ে তার গবেষণা, সম্পাদনা ও রচনাকর্ম আরব ও ইসলামী জগতে অনন্য অবদান হিসেবে বিবেচিত হয়। তিনি বহু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন এবং বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সাময়িকীতে তার গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।

২০১২ সালে (১৪৩৩ হিজরি) সিনিয়র আলেম পরিষদ পুনর্গঠিত হলে তিনি প্রথম দিককার সদস্যদের একজন হিসেবে নির্বাচিত হন।

এমআরএম/এএসএম



from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/IHB2PFi
via IFTTT
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post