সুইডেনে স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ১০

সুইডেনের পশ্চিমাঞ্চলে একটি স্কুলে বন্দুক হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে। দেশটির ইতিহাসে এটা সবচেয়ে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিসটেরসন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ১২টা ৩৩ মিনিটে দেশটির ওরেব্রো শহরের একটি স্কুলে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।

প্রাথমিকভাবে জানানো হয় যে, পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরে পুলিশ জানিয়েছে, রিসবারগস্কা স্কুলে হামলার ঘটনায় প্রায় ১০ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।

স্থানীয় পুলিশ প্রধান রবার্তো ইদ ফরেস্ট সাংবাদিকদের বলেন, এখানে ১০ বা তার বেশি লোককে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এখনি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না কারণ এই ঘটনার পরিধি বেশ বড়।

ওরেব্রো ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পাঁচ রোগীর মধ্যে একজন হালকা আঘাত পেয়েছেন এবং চারজনের অপারেশন করা হয়েছে, দুজনের অস্ত্রপচারের প্রয়োজন হয়নি এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। এছাড়া একজনের আঘাত বেশ গুরুতর।

হামলাকারী নিজেও এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। এই হামলার পর আর কোনো হামলার সম্ভাবনা নেই বলেও জানানো হয়েছে। কী কারণে এই হামলা চালানো হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে এই হামলার কোনো সম্পর্ক নেই বলেই ধারণা পুলিশের।

পুলিশ প্রধান রবার্তো ইদ ফরেস্ট জানিয়েছেন, হামলাকারী হয়তো একজনই। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনাকে হত্যাচেষ্টা, অগ্নিসংযোগ এবং গুরুতর অস্ত্র অপরাধ হিসেবে তদন্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেসেন দাবি করেছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী নিজেকে গুলি করেছেন। যদিও পুলিশ এখনো এটি নিশ্চিত করেনি। এছাড়া এক্সপ্রেসেন ও আফতোনব্লাদেট জানিয়েছে, পুলিশও ঘটনাস্থলে গুলির মুখে পড়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে হামলার পরপরই সংশ্লিষ্ট স্কুলসহ আশপাশের স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের ভেতরে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

সুইডেনের বিচারমন্ত্রী গুনার স্ট্রমার এ ঘটনাকে খুবই গুরুতর বলে উল্লেখ করে বলেছেন, সরকার পুলিশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে স্বয়ংক্রিয় বন্দুকের শব্দ শোনা গেছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগ খালি করা হয়েছে।

সুইডেনে স্কুলে হামলার ঘটনা বিরল হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে কয়েকটি বড় হামলা ঘটেছে। ২০২২ সালের মার্চে মালমোতে ১৮ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে দুই শিক্ষক নিহত হন। একই বছর জানুয়ারিতে ক্রিস্টিয়ানস্টাড শহরের এক স্কুলে ১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী এক ছাত্র ও এক শিক্ষককে ছুরিকাঘাত করেন।

এছাড়া, ২০১৫ সালের অক্টোবরে ট্রোলহ্যাটান শহরের একটি স্কুলে বর্ণবাদী উদ্দেশ্যে চালানো হামলায় তিনজন নিহত হন। পরে পুলিশ তরবারিধারী ওই হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করে।

টিটিএন



from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/6U3ZNAM
via IFTTT
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post