সিরিজ জয়কে স্বস্তি নয়, চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন ফাহিম

বোর্ড কেমন চলছে, বিসিবির কাজ কর্মে স্বচ্ছতা-পেশাদারিত্ব কতখানি আছে, তা খুঁটিয়ে দেখার চেয়ে বেশির ভাগ ক্রিকেট অনুরাগীই জাতীয় দলের পারফরম্যান্সকেই বড় করে দেখেন। জাতীয় দল ভালো খেলতে থাকলে সেভাবে বিসিবির অনিয়ম, অস্বচ্ছতা ও অপেশাদারিত্ব নিয়ে তেমন সমালোচনা হয় না।

কিন্তু জাতীয় দল খারাপ খেললেই চারদিকে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে। ফারুক আহমেদের কাছ থেকে বিসিবিপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর আমিনুল ইসলাম বুলবুল বোর্ডের কার্যক্রমে খানিক নতুনত্ব আনতে চেয়েছেন। পরিচালকদের দায়িত্ব বণ্টনও হয়েছে নতুন করে। যেমন অভিজ্ঞ সংগঠক মাহবুব আনামকে করা হয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।

তারপরও জাতীয় দলের পারফরম্যান্স ভালো না থাকায় বিসিবির বর্তমান কমিটিতেও অস্ফুট অস্বস্তি ছিল। সবচেয়ে অস্বস্তিতে ছিলেন নাজমুল আবেদিন ফাহিম। শুধু বোর্ড পরিচালকই নন, জাতীয় দল পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান কমিটিরও প্রধান তিনি। জাতীয় দলের ব্যর্থতার একটা বড় দায় বর্তায় তার ওপর।

শ্রীলঙ্কার কাছে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হারের পর জাতীয় দলের পারফরম্যান্স নিয়েই শুধু সমালোচনা হয়নি, বোর্ড ব্যবস্থাপনা নিয়েও কথা হয়েছে। সর্বাধিক ছোটাছুটি করা ও বোর্ডের কার্যক্রমে গতি সঞ্চারের পাশাপাশি উন্নতির ছোঁয়া লাগাতে সচেষ্ট ফাহিমও কিছু কর্মকাণ্ডে সমালোচিত হয়েছেন।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ে নিশ্চয়ই খানিক দায়মুক্ত হয়েছেন ফাহিম। ভেতরের অস্বস্তিটাও কেটে যাওয়ার কথা।

‘এই সিরিজ জয় কি শুধু ক্রিকেটারদের ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসা, নাকি বিসিবি কর্তাদেরও খানিক স্বস্তির? শুধু কি সমালোচকদের মুখই বন্ধ হলো, নাকি বিসিবি পরিচালক ও জাতীয় দলের ব্যবস্থাপনায় সরাসরি জড়িত আপনিও কিছুটা নির্ভার থাকবেন?’

জাগো নিউজ থেকে এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হলে ফাহিম বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে সেভাবে দেখি না। আমার মনে হয় না, লঙ্কানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় বোর্ডের জন্য স্বস্তির পরশ, আর ক্রিকেটারদের নির্ভার হয়ে ওঠা। ভালো খেলা এবং ধারাবাহিকভাবে ভালো করা অনেক জরুরি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি এই সিরিজ জিতেই মনে করি, আমরা জাতে উঠে গেছি এবং কিছুদিন জাতীয় দল ও বোর্ড নিয়ে কেউ সমালোচনা করবেন না, সবাই আমাদের ভালো বলবে, পাশে থাকবে এবং আমরাও খুব নিশ্চিন্তে থাকবো- তা ঠিক হবে না।’

পাকিস্তান সিরিজই বাংলাদেশের এখন প্রথম চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে ফাহিম বলেন, ‘যদি ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে পারি, তাহলে বড় ইভেন্টে ভালো খেলতে পারবো। আমার মনে হয়, চ্যালেঞ্জটা রয়েই গেল যে, সামনেই পাকিস্তান সিরিজ। সেটাতেও আমাদের ভালো করতে হবে। ওভাবেই দেখছি আমি। এটা সত্য যে, একটা ভালো লাগা অবশ্যই আছে। কারণ আমরা একটি সিরিজ জিতেছি। তারপরও চ্যালেঞ্জ আছে। পাকিস্তানের সঙ্গে ঘরের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজ আছে। সেখানেও ভালো খেলতে হবে, জিততে হবে।’

‘আসল কথা হলো আমরা ধারাবাহিকতাটা দেখাতে পারি কিনা? আমাদের ক্রিকেটাররা ধারাবাহিকভাবে ম্যাচ বাই ম্যাচ ভালো খেলে সাফল্যের গ্রাফটা আরও ওপরে নিয়ে যেতে পারছে কিনা, সেটাই দেখার’ - যোগ করেন তিনি।

সবশেষ ফাহিম বলেন, ‘আমরা জানি, পরাজিতদের কেউ মনে রাখে না। পরাজিত দল মূল্যায়িত হয় না। কাজেই বিবেচনা ও মূল্যায়নে থাকতে হলে আমাদের ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতেই হবে। তার বিকল্প নেই। সে অর্থে আমাদের সামনে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার এক নতুন চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’

এআরবি/এমএইচ/এএসএম



from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/wGhFsmx
via IFTTT
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post