ঢাকার দোহারে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে আসামি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশও দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জিয়াউর রহমান দোহার থানার বানাঘাটা গ্রামের শেখ সোনা মিয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত আসামির স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায় করে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে দিতে ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আদেশ দিয়েছেন।
রায়ের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউট (পিপি) এরশাদ আলম (জর্জ) বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায়ের মধ্যদিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো। প্রত্যাশা করছি শিগগির দণ্ডপ্রাপ্তকে গ্রেফতার করা হবে এবং তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
- আরও পড়ুন
- কঠোর আইনেও ধর্ষণে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কম
- ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন অপরাধ করার সাহস না পায়: তারেক রহমান
- বাংলাদেশে ধর্ষকদের কোনো স্থান হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে ভুক্তভোগী কিশোরী বাড়ির পাশের ক্ষেতে সবজি আনতে যান। সবজি নিয়ে ফেরার পথে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে আসামি জিয়াউর রহমান ভিকটিমকে জোরপূর্বক পার্শ্ববর্তী ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের পর ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। এরপর সেখানে লাশ ফেলে পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা দোহার থানায় মামলা দায়ের করেন।
২০১৯ সালের ১২ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার উপ-পরিদর্শক সৈয়দ মেহেদী হাসান আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
এমআইএন/ইএ/জিকেএস
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/NaQKH63
via IFTTT