সচিবালয় ইতিহাসের স্মরণকালের বড় অগ্নিকাণ্ডের পর রোববার (২৯ ডিসেম্বর) অফিস করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রবেশে কড়াকড়ি। নেওয়া হয়েছে জোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সচিবালয়ে উপদেষ্টা সচিব এবং দপ্তর বা সংস্থা প্রধান ছাড়া কারো গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদের ৫ নম্বর গেট এবং এক ও দুই নম্বর গেটের মাঝখানের দর্শনার্থী অভ্যর্থনা কক্ষে দিয়ে হেঁটে প্রবেশ করতে হচ্ছে।
সচিবালয়ের অন্য সব গেট বন্ধ রয়েছে। সাংবাদিকদের সব ধরনের প্রবেশ পাস বন্ধ থাকায় সাংবাদিকরা প্রবেশ করতে পারেননি। তাই সকাল থেকেই সচিবালয় এক নম্বর গেটের সামনে জড়ো হন ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।
সাংবাদিকদের প্রবেশ পাস বাতিলের বিষয়ে নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এজন্য দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয় কাভার করা সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব এবং মাসউদুল হকের নেতৃত্বে একটি ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সঙ্গে বৈঠকের জন্য সচিবালয়ে প্রবেশ করেন।
জানা গেছে, সচিবালয়ে পুড়ে যাওয়া ৭ নম্বর ভবনে এখনো কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ওই মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় নগর ভবনে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অফিস রেল ভবনে হচ্ছে।
গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আগুন লাগার ঘটনায় পুড়েছে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের চারটি তলা। এ চার তলায় পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের অফিস ছিল। বুধবার দিনগত রাত ২টার কিছু আগে আগুন লাগে, ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লাগে প্রায় ১০ ঘণ্টা।
আরও পড়ুন:
- সচিবালয়কে দালালদের হাটবাজার বানিয়ে ফেলা হয়েছিল
- সচিবালয়ে আগুন ‘রিমোট কন্ট্রোল’ দিয়ে নাকি অন্য কিছু?
- সচিবালয়ের আগুনে পোড়া কুকুরের মরদেহ বলে দেয় এটি ষড়যন্ত্র
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, বাংলাদেশ সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির স্বার্থে সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের অনুকূলে দেওয়া স্থায়ী প্রবেশ পাস (ডিজিটাল এক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম) এবং সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য দেওয়া অস্থায়ী প্রবেশ পাস ছাড়া সব ধরনের অস্থায়ী (বেসরকারি ব্যক্তিদের জন্য) সচিবালয় প্রবেশ পাস বাতিল করা হলো।
সাংবাদিকদের অনুকূলে ইস্যু করা অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দ্বারা সচিবালয়ে প্রবেশাধিকার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাতিল করা হলো।
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন সাংবাদিকরা।
আরএমএম/এসএনআর/এমএস
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/SYTahlU
via IFTTT