এটি পাতা পোড়া বা ঝলসানো রোগ নামে পরিচিত। পাতা পোড়া রোগের ব্যাকটেরিয়া জীবাণু (ব্যাকটেরিয়াল ব্লাইট) আক্রান্ত- গাছ বা তার পরিত্যক্ত গোড়া, কুটা ও বীজ এবং আগাছার মধ্যেও থাকতে পারে। শিশির, সেচের পানি, বৃষ্টি, বন্যা এবং ঝড়ো হাওয়ার মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়।
পাতা পোড়া রোগ পোকা, বাতাস এবং সেচের পানির মাধ্যমে এক জমি থেকে অন্য জমিতে ছড়ায়। গাছের ক্ষতস্থান দিয়ে এ রোগের জীবাণু ভেতরে প্রবেশ করে। আসন্ন বোরো তথা শীত মৌসুমে ধান এবং সবজি ক্ষেতে রোগটি কৃষকের অত্যন্ত চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আশা করি লেখাটি কৃষক ভাইদের এই রোগ ব্যবস্থাপনায় কার্যকরী ভূমিকা রাখবে:
কোন ফসলে হয়
বিভিন্ন ফসলে এ রোগ হয়ে থাকে; যেমন- কুমড়াজাতীয় ফসল, শিমজাতীয় ফসল, ধান ফসল। এ ছাড়া মরিচ, টমেটো, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিতেও পাতা পোড়া রোগ দেখা যায়।
রোগের লক্ষণ
১. আক্রান্ত পাতায় ছোট ছোট গোলাকার হতে কোনাচে বাদামি রঙের দাগ পড়ে।
২. দাগের কেন্দ্র ধূসর রঙের কিনারা লালচে হতে বাদামি রঙের হয়।
৩. দাগগুলো একত্রে বড় আকারের হয় (১ সেন্টিমিটার)
৪. এমনকি গাছের শাখা-প্রশাখা ও শিমেও দাগ পড়ে।
৫. পরে পাতায় ও ফলে বাদামি দাগ দেখা যায়।
আরও পড়ুন
জৈব রোগ প্রতিরোধে ও প্রতিকারে করণীয়
১. প্রতিরোধী জাত বা বীজ ব্যবহার করা।
২. রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করা।
৩. আক্রান্ত ফল, পাতা ও ডগা অপসারণ করা।
৪. অতিরিক্ত ইউরিয়া সার ব্যবহার বন্ধ করা।
৫. সুষম মাত্রায় পটাশ এবং দস্তা সার ব্যবহার করা।
৬. ক্ষেতের পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা করা।
৭. রোগের শুরুতেই আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে পুড়ে ফেলা।
৮. ফসল চাষে শস্য পর্যায় অবলম্বন করা।
রাসায়নিক রোগ প্রতিকারে করণীয়
১. সালফার গ্রুপের ছত্রাকনাশক (হাদিয়াভিট)-৬০ গ্রাম, পটাশ-৬০ গ্রাম, দস্তা-২০ গ্রাম, ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৬-১০ শতক জমিতে স্প্রে করুন।
২. ফসলভেদে এ রোগের ব্যবস্থাপনা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। প্রয়োজনে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
এসইউ/এমএস
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/6fJBoaU
via IFTTT